সরওয়ার আলম শাহীন,উখিয়া নিউজ ডটকম::
প্রসাশনের হার্ডলাইন অবস্থানের কারনে দীর্ঘদিন আত্বগোপনে থাকার পর উখিয়া উপজেলার শীর্ষ মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট আবারো পুরোদমে এলাকায় ফিরেছে। শুক্ক মৌসুমকে টার্গেট করে ইতিমধ্যে মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট তাদের প্রসাশনের গুটিকয়েক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মানবপাচারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে। নতুন করে পাচারকারীরা আবারো মানবপাচারে নেমে পড়ায় স্থানীয় জনসাধারনের চনম উৎকন্টা বিরাজ করছে। বিশেষ করে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের উপকূলীয় সোনারপাড়া, ইনানী, ডেইলপাড়া, মোঃ শফির বিল, মনখালী, পাটোয়ার টেক সহ বিশাল সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা জুড়ে শক্তিশালী একটি আদম পাচারকারী চক্র সক্রিয় উঠেছে। এসব এলাকার আদম পাচারকারী দালালরা কত এক মাসে অন্তত বিশটির অধিক ট্রলার যোগে সাগর পথে আদম পাচার করছে। এলাকার লোকজন জানায়, সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া আদম পাচার বেড়ে যাওয়ায় তারা রীতিমত উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত হয়ে পড়েছে। জনপ্রতি মাত্র ৫০/৬০ হাজার টাকা নগদ নিয়ে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ওই চক্রটি। অবশিষ্ট টাকা মালয়েশিয়ায় গিয়ে পরিশোধ করবে মর্মে অঙ্গীকার দিতে হয় মালয়েশিয়া গামীদের। সম্প্রতি উখিয়া থানা পুলিশ এক মানবপাচারকারী দালালকে আটক করেছে। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমতে তারা মালয়েশিয়া যাওয়ার নতুন পাচারের পথ হিসেবে পানি পথকে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে। আর এ জন্য টার্গেট করা হয়েছে সমুদ্র তীরবর্তী এলাকা। এসব এলাকার বাড়ি-ঘরে বিভিন্ন স্থান থেকে অচেনা লোকজনকে মজুদ রেখে গভীর রাতে তাদেরকে ট্রলারে তুলে দেওয়া হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আদম পাচারকারী চক্রটি বিভিন্ন কায়দায় প্রশাসনের উচ্চ পর্যায় থেকে ম্যানেজ করে গ্রামের জনপ্রতিনিধিদের কমিশনের মাধ্যমে এ কাজ নির্বিঘেœ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের রয়েছে শক্তিশালী একটি সিন্ডিকেট। সমুদ্র তীরবর্তী উপকূল জুড়ে যেসব আদম পাচারকারী দালাল রয়েছে তারা হলেন চোয়াংখালীর বদিউল আলমের ছেলে মোজাম্মেল হক, বুজুরুজ মিয়ার ছেলে আব্দুর রহিম, ছেপটখালীর মোঃ রফিক, ফয়েজ, নবী হোসেন, নুর মোহাম্মদ, হাকিম আলী, মজিদ মাঝিসহ ৩০ জনের একটি পাচারকারী দল সক্রিয় তৎপরতায় জড়িত বলে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে। এদিকে কুতুপালং শরনার্থী শিবির ভিত্তিক আরো একটি আদম পাচারকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠার খবর পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত ক্যাম্প থেকে ৫শ জন করে রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া পাচার করে থাকে। কুতুপালং শরনার্থী শিবিরে আদম পাচারে নেপথ্যে যারা রয়েছে তারা হলেন অনিবন্ধদিত রোহিঙ্গা মৃত লাল মিয়ার ছেলে আবু ছিদ্দিক, সিরাজুল মোাস্তফার ছেলে মোঃ নুর, মোঃ আইয়ুব, মনিরজ্জমান, মোঃ রফিক, আইয়ুব মাঝি, কালা বৈদ্য, মমতাজ, ফাতেমা এরা সবাই রোহিঙ্গাটালে থাকে বলে জানা গেছে। গত এক মাসে কুতুপালং শিবির থেকে অন্তত এক হাজার রোহিঙ্গাকে মালয়েশিয়া পাচার করেছে বলে কয়েকজন দালালের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন রাত হলেই মালয়েশিয়া গামী জড়ো করা লোকজন সোনারপাড়া রেজু মোহনা, ডেইলপাড়া, ছোট ইনানী ও বড় ইনানীর প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পাচারকারী দালালেরা তৎপরতায় থাকে। শুধু তাই নয় নিত্য নতুন অপরিচিত ও অচেনা লোকজনের আনাগোনাও বেড়ে গেছে উপকুলীয় এলাকায়। এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ওসি মোঃ আবুল খায়েরের সাতে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন,ইতিধ্যে বেশ কয়েকজন মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশ সর্বোচ্ছ সজাগ রয়েছে।
পাঠকের মতামত